দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয় ভদ্রের বাড়িতে ইডি। শনির সকাল সকাল তাঁর বেহালার বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল এই মাসের প্রথম দিকে। আর আজ সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন বলে নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের আগেও পাচারের মামলায় তাঁকে জেরা করা হয়েছিল। আর আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরা করবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে।
এই আবহে আজকে সকালে সুজয়বাবুর বাড়িতে ইডি হানা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।কালীঘাটের বাড়ি ও ফ্ল্যাটের পাশাপাশি বেহালায় তাঁর অফিসেও তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেহালার ফকির পাড়া রোডের এক কনসালটেন্সি সংস্থায় সাতসকালে ইডি পৌঁছে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে কি এই সংস্থাও জড়িত?তবে শুধু কালীঘাটের কাকুর বাড়িতেই নয়, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১০টি টিম অভিযানে নেমেছে ইডি। জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তর বাড়িতেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দল।প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবে পরিচিত সুজয়বাবুর নাম নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়ায় গোপাল দলপতির সৌজন্যে। এরপরই তাঁকে নিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। পরে তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল তাঁর নাম। এই আবহে সিবিআই তাঁকে জেরা করেছিল। তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের একটি অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছিল। যদিও সেই সময় সুজয়বাবু দাবি করেছিলেন, সেই অ্যাডমিট কার্ড তাঁর শালির ছেলের। এছাড়াও সুজয়বাবুর দুটো ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। এদিকে আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে আজকের দিনে অভিষেকের অফিসের কর্মচারী সুজয়বাবুর বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।