দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- আবার উপাচার্যদের চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আগেও তিনি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করেছিলেন। এবারও একই কাজ করতে তিনি চিঠি পাঠালেন বলে সূত্রের খবর। বহু উপাচার্য রাজ্যপালের চিঠির পর সেই নির্দেশ পালন করেননি। তাই আবার দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হল। আর সেখানে প্রথম চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের থেকে সাপ্তাহিক অ্যাক্টিভিটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যদিও এর আগেও রাজভবনের তরফে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর রাজভবনের তরফে চিঠি পাওয়ার পর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টও পাঠিয়েছিল, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আবার রিপোর্ট পাঠায়নি।
মনে করা হচ্ছে সেই কারণে ফের রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে অ্যাক্টিভিটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে তিনজন করে সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ফের চাইল রাজভবন। সম্প্রতি রাজভবনের তরফে চিঠি দিয়ে ৫ জন করে সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা চেয়েছিল রাজভবন। সূত্রের খবর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় চিঠির প্রেক্ষিতে নাম পাঠালেও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় নাম পাঠাইনি।তার জেরেই ফের চিঠি দিয়েছে রাজভবন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা মনোভাব নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ে আসার বিল বিধানসভায় গৃহীত হলেও এখনও রাজ্যপাল কেন স্বাক্ষর করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।পাশাপাশি অবিলম্বে বিলে যাতে স্বাক্ষর করা হয় তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে রাজভবনে। অন্যদিকে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের আইনে বদল করে সার্চ কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। তিনজনের বদলে পাঁচজনের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত প্রতিনিধির নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে। যদিও রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য উচ্চ শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই আচার্য নিয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে এই চিঠি পাঠানো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।