Breaking News

এগরা কাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্বীকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!

প্রসেনজিৎ ধর :- এগরার অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজেই এ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে জীবন নষ্ট যেন না হয়। শুধুমাত্র গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। তাতে চাকরিটা বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনাও হবে না।’’ পাশাপাশি, ঘটনার ১১ দিন পর তিনি ঘটনাস্থলে আসার জন্যও দুঃখপ্রকাশ করেন। স্বীকার করেন এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছিল।এদিন এগরার খাদিকুলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবার হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক সহ একজনকে হোমগার্ডে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। আগমীকাল থেকেই কাজে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন তিনি। এদিন সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করতে এগরায় আসিনি। মানবিক কারণে সাহায্য করতে এসেছি। অবৈধ বাজি কারখানায় অনেক গরিব কাজ করেন। আমরা মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কিমিটি গড়েছি। সরকারি উদ্যোগে বেআইনি বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরি করব। ফায়ার ক্র্যাকার না করে গ্রিন ক্র্যাকার তৈরির দিকে নজর রাখা হবে। তাতে চাকরিটাও বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনা হবে না। শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ছোটোদের পড়াশোনা চালানোর অসুবিধা হলে সেটাও প্রশাসন দেখবে বলে জানান মমতা |

একইসঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে সাধারাণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ বাজি কারখানা দেখলেই ওসিকে রিপোর্ট করবেন। যদি ওসি কোনও ব্যবস্থা না নেন আমার উপর ছেড়ে দিন। কথা না শুনলে ওসিকে চেঞ্জ করে দেব।খাদিকুলে গত ১৬ মে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় কারখানার মালিক ভানু বাগ-সহ মোট ১১ জনের। সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে, বিস্ফোরণের পর আহত ভানু পড়শি রাজ্য ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে সেখানকার একটি হাসপাতালে জাল আধার কার্ড দিয়ে ভর্তি হন। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়।’’ তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এবং পরিবার পিছু একটি করে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। মমতা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই চেক তুলে দিয়ে বলেন, ‘‘অন্তত সংসার চালান।’’এরপর প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘নিহত এবং আহতদের পরিবারের দুঃখ কখনও শেষ হয় না। তবু লড়াই করতে হবে। এটা আমার হাতে ছিল না, আপনার হাতেও ছিল না। কিন্তু অবৈধ বাজি তৈরি করা ঠিক নয়। যিনি এ সব তৈরি করতেন (ভানু বাগ), তিনিও মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *