প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বাম এবং কংগ্রেস জোটকে জোর ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। জয়ের তিন মাসের মধ্যে সোমবার জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন তিনি। বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন।সোমবার জনসংযোগ যাত্রায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে শিবিরে যোগ বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূল কংগ্রেসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি প্রকাশ করা হয়। বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন। দলত্যাগ আইনেও পড়বেন না তিনি।
চলতি বছরই সাগরদিঘি উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোটপ্রার্থী হিসেবে সাগরদিঘি থেকে জয় পান বায়রন বিশ্বাস। বাইরনের দলবদল নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিধানসভায় জয়ের পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই সর্বাত্মক করতে বাইরন তৃণমূলে যোগ দিলেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে জোর গলায় লড়াই করবেন।’’ দলত্যাগ নিয়ে বাইরনের বক্তব্য, ‘‘আরও বেশি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ।’’দলবদল করতেই বাইরনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়েছে কংগ্রেস এবং বাম শিবির। এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মিরজাফরের থেকেও মানুষের সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বাইরন। কংগ্রেস কর্মী এবং সাগরদিঘির মানুষের সমর্থন নিয়ে জিতে যে ভাবে তিনি দলবদল করেছেন তা বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।’