দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রায় ন’মাসেরও বেশি সময় পর সশরীরে আদালতে হাজিরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। জামিনের আবেদনের শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেন। দীর্ঘদিন পর সোমবার তাঁকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়। সালোয়ার – কামিজ আর ওড়নায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে আদালতে ঢোকেন তিনি। মুখে ছিল মাস্ক। তবে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর গত বছর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার পর কয়েকবার তাঁকে সশরীরে আদালতে পেশ করে ইডি। কিন্তু জেল হেফাজতের নির্দেশের পর অর্পিতাকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে বার করা হয়নি। ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন অর্পিতা।এদিন আলিপুর আদালতে প্রিজন ভ্যান থেকে নামতেই অর্পিতার উদ্দেশে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা।
কিন্তু কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। সোজা তাকিয়ে হন হন করে কোর্ট লক আপে ঢুকে পড়েন।শেষবার সশরীরে আদালতে পেশের সময় অর্পিতা বলেছিলেন, টাকা আমার নয়। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। মা অসুস্থ। মায়ের পাশে থাকতে চাই।গ্রেফতার হওয়ার পরে শুরুর দিকে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস কোনও শুনানিতেই জানাননি জামিনের জন্য আবেদন। আজ আদালতে তিনি জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। সেই মামলার শুনানি আজ। উল্লেখ্য, গ্রেফতারেরর ৩২২ দিনের মাথায় তাঁকে ফের দেখা গেল আদালতে।এর আগেও একাধিকবার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে মুখ খোলেন অর্পিতা। একসময় তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর ফ্ল্যাটকে কার্যত ‘মিনি ব্যাংক’ হিসাবে কাজে লাগিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার কখনও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন। সামাজিক সম্মানহানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’। তবে সোমবার একটি বাক্যও খরচ করতে চাননি তিনি।