প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী। একইসঙ্গে অর্পিতা জানান, সংস্থার সব কাজ হত পার্থর বাড়িতে। বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে অনন্ত টেক্সফ্যাবের অফিস ছিল। সেই কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল বলে জানান অর্পিতা। দীর্ঘ ৯ মাস পর আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এমনটাই জানালেন অর্পিতা।গ্রেপ্তারির প্রায় ন’মাসেরও বেশি সময় পর আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’।
আদালতে তাঁর উপস্থিতি বিস্ফোরক দাবি করেন আইনজীবী। বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না অর্পিতা। এই যুক্তিতে জামিনের আর্জি জানান আইনজীবী। যদিও ইডি তার তীব্র বিরোধিতা করে।অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জানান, “মাস্টারমাইন্ড কে সেটা আসলে দেখতে হবে। অর্পিতা পরিস্থিতির শিকার। অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে সোনা ও নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে অসহযোগিতা করছে বলা হচ্ছে। এভাবে কী ব্যক্তি স্বাধীনতাকে নষ্ট করা হচ্ছে না? ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অর্পিতাকে। যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোটাই ভিত্তিহীন। গ্রেপ্তারির আগে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়নি। তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। অনন্ত টেক্স ফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড একটা রেজিস্টার অফিস। তার সঙ্গে সম্পর্ক কী? এই সংস্থার কর্মচারী মনোজ জৈনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হল না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ জৈন এবং কমল সিং ভুতোরিয়াকে বলেছিলেন দু’জন ভুয়ো ডিরেক্টরকে আনতে। সেই অনুযায়ী গণেশ, মৃন্ময় মালাকার নামে দু’জন ভুয়ো ডিরেক্টরকে নিয়ে আসেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর মেয়ে সোহিনী, জামাই পুরো সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই সংস্থার সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পেতেন পার্থ ও তাঁর পরিবার। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কোনওভাবে এই কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের মাথা খাটিয়ে সবাইকে কাজ করাতেন। পুরো গেম প্ল্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।” অর্পিতার আইনজীবীর আরও দাবি, তাঁর মক্কেলের নামে রয়েছে মোটে তিনটি সম্পত্তি। যদিও ইডি-র আইনজীবী অর্পিতার জামিনের বিরোধিতা করেন এবং গ্রেফতারের আগে বয়স্ক মায়ের সঙ্গে যে অর্পিতার যোগাযোগ ছিল না, তাও পরোক্ষে উল্লেখ করেন তিনি।