দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অবশেষে স্নাতকস্তরের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দিল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। সুতরাং চার বছরের পাঠ শেষ করে তবেই স্নাতক হবেন পড়ুয়ারা। যদিও জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। তবে এই শিক্ষানীতি বিশ্লেষণ করার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল রাজ্যের পক্ষ থেকে। অবশেষে এই শিক্ষানীতিতে মিলল অনুমোদন। এবার থেকে তিন বছরের পরিবর্তে চার বছর ধরে চলবে স্নাতকের পাঠ। আর চার বছর এই পাঠক্রম শেষ করার পর সরাসরি গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।
ব্রাত্য বসুর দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৪ বছরের স্নাতক কোর্স চালু করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার,এমনই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “রাজ্য কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি মানেনি। বরং রাজ্যে সম্পূর্ণ পৃথক শিক্ষানীতি তৈরি করেছে। বিভিন্ন ব্যবস্থা থেকে ভালদিকগুলি নেওয়া হয়েছে।”সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এবার রাজ্যের সমস্ত কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতি করা হবে। কিন্তু সেই ওয়েবসাইটের ফ্রেমিং হয়েছিল তিনবছরের স্নাতক কোর্স অনুযায়ী। ফলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া চালালে পড়ুয়াদের মধ্যে ধন্দ তৈরি হবে। বিভ্রান্ত হতে পারে পড়ুয়ারা। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হল বলে জানিয়ে দিয়েছে দপ্তর। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এই বছর স্নাতকস্তরে ভর্তি হতে চলেছেন রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের সুবিধার কথা ভেবে স্নাতকস্তরে আমরা ৪ বছরের পঠনপাঠন চালু করতে চলেছি। এতে তাঁদের সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং একইসঙ্গে রাজ্যের বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।’