প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এ বার দুই নতুন মুখকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁরা দু’জনেই ওই কাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের জেলার বাসিন্দা। ওই দুই ব্যবসায়ীকে গরু পাচার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকেরা।গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে বীরভূমের একাধিক চালকলের নাম সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার চালকলেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এবার নাম জড়াল আরও দুজনের। প্রিংশু ছাঁঝের ও আকুল দাস নামে দুই ব্যবসায়ীকে ১ জুন, বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে।
তাঁদের কাছ থেকে পাচার সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।গরু পাচারকাণ্ডে এর আগে বীরভূমের কয়েক জন ব্যবসায়ীকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করেছিল অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বীরভূমের ব্যবসায়ী মলয় পিটকে। ওই একই মামলায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় বীরভূমের চালকল মালিক রাজীব ভট্টাচার্যকেও। তিনিও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে এই দুই ব্যবসায়ীর লেনদেনর হদিশ পেয়েছে সিবিআই। বিভিন্ন সময় তাঁদের সঙ্গে এনামুলের বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাচারের টাকা কোথা থেকে কার হাতে যেত, এসব তথ্য দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। জানা যাচ্ছে, সাঁইথিয়ায় প্রচুর চালকল রয়েছে। আর সেই সব চালকল মালিকদের মধ্যেই অনেকের সঙ্গেই অনুব্রতর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই মামলায় এনামুল হককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে একে একে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, তাঁদের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সেই মামলার তদন্তে আরও গভীরে পৌঁছতে চান গোয়েন্দারা।