Breaking News

বিচারপতি মান্থার এজলাসে স্বস্তি সৌমিত্র খাঁর, ভর্ৎসনার পরেও এখনই কড়া পদক্ষেপ নয় বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সোনামুখী থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নামে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে পাল্টা আদালতেও যান সৌমিত্র। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যে ভাষায় একজন আইসিকে আক্রমণ করেছেন, তা কুরুচিকর। এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে অন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। একইসঙ্গে সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।গত এপ্রিলে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই সময় সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। আইসির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে সেই মামলায় গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। তাই গ্রেপ্তারি এড়াতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র খাঁ।শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। ওই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিজেপি সাংসদকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। বলেন, “যে ভাষা তিনি বলেছেন বলে পুলিশ এফআইআরে উল্লেখ করেছে সেটা প্রবল খারাপ। একজন সাংসদের মুখ থেকে এই ভাষা আশা করা যায় না।” ক্ষোভপ্রকাশের পরেও বিচারপতি সৌমিত্র খাঁকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেন। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *