দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। প্রাণ গিয়েছে একাধিকের। বাংলার রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন। শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। শনিবার এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ভাঙড়ের অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।স্পষ্ট বললেন, যারা মারপিট করে, দাঙ্গা করে তাদের পাশে আমি কোনদিন ছিলাম না, থাকবও না। প্রসঙ্গত, এদিন ডক্টরস ডে উপলক্ষে পাটুলি থানায় একটি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন এসেছিলেন মিমি। সেখান থেকেই শান্তির বার্তা দিতে দেখা যায় মিমিকে। বলেন, “আমি কোনওদিনই মার-দাঙ্গা এসবের পক্ষে নেই। কোনওদিন থাকবও না। যাঁরা এগুলোকে উৎসাহ দেয় আমি তাঁদের পাশেও কোনওদিন দাঁড়ব না। আমাদের প্রশাসন গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
অনেকটা নিয়ন্ত্রণও হয়েছে। আমি সাধরণ মানুষকে বলব একটা ভোটের জন্য এই জিনিসগুলি না করতে। এটাই আমার তাঁদের প্রতি বার্তা। সবাই সুস্থভাবে ভোট দিন। যাঁরা কাজ করেছে, যাঁরা সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিল তাঁদের ভোট দিন। আসলে মার-দাঙ্গা করে কোনওদিন কিছু হয়নি। হবেও না। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি সবসময় চাই সব কিছু শান্ত থাকুক।”পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। বোমাবাজি হয়, চলেছে গুলি। আহত হন বেশ কয়েকজন। প্রাণ যায় একাধিকের। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাঙড়ে যান। ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও পরিস্থিতি উত্তেজনামূলক ভাঙড়ে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal