প্রসেনজিৎ ধর :- রাজ্যে ফের ভোটের বলি। উত্তর ২৪ পরগনায় হাড়োয়ায় বোমা ফেটে মৃত ১, বিস্ফোরণে আহত আরও ১ জন। মৃতের নাম পরিতোষ মণ্ডল। আহত নারায়ণ পালিত। হাড়োয়ার কুচিপোড়া গ্রামে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে দেহ। উড়ে গিয়েছে হাতের আঙুল, হাতও। মাঠের পাশে একটি নির্জন এলাকায় এই বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ গ্রামে তল্লাশি শুরু করেছে। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পরিতোষ এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি হাড়োয়ার সোনাপুকুর শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা। মৃতের স্ত্রী সুষমা মণ্ডলের দাবি, সোমবার হাসনাবাদে বাউল গানের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তাঁর। হাসনাবাদে গান করতে যাওয়ার আগে পাঁচ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছিল। অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সঙ্গে একটি মোবাইল আর নগদ ৫০০০ টাকা ছিল। সাইকেলেই হাসনাবাদ যাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালিতপাড়ার একটি বাগানে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তারপরই বাড়িতে আসে দুঃসংবাদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পান। পরিবারের সদস্যরা যতক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমার নমুনা ও সুতুলি স্প্লিন্টার উদ্ধার করেন। বোমায় শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি হাতের আঙুলও পড়েছিল দূরে। সেটিও তল্লাশির সময়ে উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী ও মেয়ের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা চাইছেন পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক।এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, একটা রাজ্যের শাসকদল যখন কর্মসংস্থানের সম্পূর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দেয় আর তাদের লক্ষ্য শুধু হয় যে যেনতেন প্রকারে যে করেই হোক জিততে হবে, তার জন্য যেকোনও পন্থা অবলম্বন করতে হবে, স্বাভাবিকভাবেই দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীরা তার আশ্রয় নিতে পারে, কারণ অন্য জায়গায় রোজগারের সুযোগ নেই, তাই বোম-টোম বেঁধে যদি ৫ বছর লুঠে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী শাসকদল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal