দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যসভা নির্বাচনে ৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। তিন নতুন মুখকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল। জানা যাচ্ছে, সমাজকর্মী সাকেত গোখলে, সামিরুল ইসলাম ও আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার বর্তমান দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় ও দোলা সেনকে ফের সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভা নির্বাচন।তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার নতুন তিন প্রার্থীর মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাকেত গোখলে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক, সমাজকর্মী সাকেত গোখলে তৃণমূলে যোগদানের পর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গুজরাট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। জেল হেফাজতেও থেকেছেন। বিজেপি বিরোধী হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত মুখ সাকেত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রকে গুজরাট পুলিশ হেনস্তা করেছে বলে সেসময় সুর চড়িয়েছিল বাংলার শাসকদল। এবার তাঁকেই রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হল। উত্তরবঙ্গে এখন তৃণমূলের সংগঠন কিছুটা দুর্বল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপি বেশ ভালো ফল করেছিল। পরবর্তীকালে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও সেই পরম্পরা ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। তাই এবার লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূল সভাপতি, আদিবাসী এবং তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রকাশ চিক বরাইককে রাজ্য সভায় প্রার্থী করে তৃণমূল আদিবাসী সমাজকে পাশে থাকার বার্তা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হেসেবে সামিরুল ইসলামকে বেছে নিয়েছে বাংলার শাসকদল। বরাবর দিল্লিতে রাজনীতি করা সাকেত গোখলের নাম নিয়ে আগেই তৃণমূলের অন্দরে চর্চা চলছিল। তিনি মূলত দিল্লিতে থেকেই রাজনীতি করেন। দীর্ঘদিন সাকেত কংগ্রেসের আইটি সেলের দায়িত্ব সামলেছেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতাও ছিল। বছর দেড়েক আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে তৃণমূলের অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র করা হয়।