দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারাদিন ধরে চলল অশান্তি। কোথাও বোমাবাজি তো কোথাও গুলি চলেছে। কোথাও ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। আবার ব্যালট বাক্স জ্বালিয়ে দেওয়া, জলে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। হিংসা, খুনোখুনির অভিযোগ উঠেছে সকাল থেকেই।
বিকেল ৫ টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটদানের হার ৬৬.২৮%, রাজ্যে হিংসার বলি ১৫ জন এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে |জখম হয়েছেন আড়াইশো জনেরও বেশি| পঞ্চায়েত নির্বাচন দেদার হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এই দাবি তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তিনি।
অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভাবনার অতীত। পশ্চিমবঙ্গে একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ জুলাই। গোটা রাজ্যজুড়ে অভাবনীয় হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে রাজ্য় শাসক দল। কার্যত দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বাহিনীকে|”সুকান্তের সংযোজন, “সমস্ত জেলাগুলিতেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এবং পূর্ব বর্ধমান। একদিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধদখল, ছাপ্পা, ভুয়ো ভোট দেওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। বিজেপি-র কার্যকর্তা এবং প্রার্থীদের প্রাণের হুমকি দেওয়া হয়েছে, লুঠ করা হয়েছে।”পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ” হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করে সিভিক ভলান্টিয়াররাও সেখানে ছিলেন। ব্যালট বাক্স নষ্ট করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।” অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির -র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলার ভোট পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেছিলেন।