প্রসেনজিৎ ধর :-পঞ্চায়েত ভোটে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন মিটতেই ভোট হিংসায় মৃতদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |বুধবার নবান্নের সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সব মৃত্যুই দুঃখজনক। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি শুধু নিজের দলের কথা বলছি না। তবে এই ১৯ জনের মধ্যে আমাদের দলেরই ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।’মমতা আরও বলেন, ‘সব মৃতদের পরিবারদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। আমাদের সরকার সব মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে। পরিবারপিছু ২ লাখ টাকা এবং পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।’মমতা আরও বলেন, ‘আমরা কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে সব মেনেছি। ৭০০ বুথে পুনর্নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন, আমরা তাতেও সায় দিয়েছি। ভোটের বাক্সে জল ঢেলে দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট নষ্ট করা হয়েছে। কমিশন কেন তাঁদের গ্রেফতার করল না।’ভাঙড়ের অশান্তি,হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ভাঙড়ে গত ২৫–৩০ বছর ধরেই ঝামেলা চলছে। বাইরে থেকে লোক এনে ঝামেলা পাকানো হয়েছে। পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। ভাঙড়ে আরাবুল আদতে হারেনি। কিন্তু দেখানো হয়েছে আরাবুল হেরেছে। সব জেনেও তৃণমূল কিছু বলেনি। সব মৃতদের পরিবারদের প্রতি আমার সমবেদনা আছে। আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। ৬০ হাজারের বেশি বুথে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে ৬০টি বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আমি দুঃখিত রাম–বাম–শ্যাম ও আর একজন জোট বেঁধেছিল। প্ল্যান করে করেছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে। তারপরও এত মিথ্যে বলছে! ত্রিপুরায় ৯৩% আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। আমরা আক্রান্ত হয়েছিলাম। অসমে এনআরসি নিয়ে আমাদের টিমের ওপর হামলা হয়েছে। মণিপুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা দল পাঠাচ্ছি। বাংলার বদনাম করতে আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে।’অন্যদিকে আজ, বুধবারই প্রথম নবান্নে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চোট লাগার পর ১৫ দিন পর এলেন তিনি।