প্রসেনজিৎ ধর :- মহার্ঘভাতা নিয়ে মামলার শুনানি আবারও পিছল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনও সেই মামলা স্থগিত হয়ে যায়। কবে পরবর্তী শুনানি হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। শুক্রবার ডিএ সংক্রান্ত রাজ্যের মামলাটির শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথিলের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেখানে রাজ্যের তরফেই প্রথম শুনানির দীর্ঘসূত্রিতার কথা বলা হয়।রাজ্যের তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি| তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডিএ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ৪ লাখের কাছাকাছি কর্মীর জন্য রাজ্যের উপরে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বোঝা রয়েছে। তাই এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন আছে।’’ রাজ্যের যুক্তি শোনার পর দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যে হেতু মামলাটির দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে, তাই মামলাটির শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে। ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়।
পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি, বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু শুনানির দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। তার পর থেকে যতবারই শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ডিএ মামলার, তত বারই কোনও না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে মামলাটি।অন্যদিকে ডিএ মামলা বারবার পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এদিন রীতমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে। এদিন তিনি বলেন, ‘এর আগের শুনানিতে জানানো হয়েছিল, এবার চূড়ান্ত শুনানি হবে। তা সত্ত্বেও মামলা ‘মিসলেনিয়াস ডে’-তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্যের বিষয়। তবু এই বিষয়ে যখন শীর্ষ আদালতে মামলা হয়েছে তাই দ্রুত নিস্পত্তি হওয়া জরুরি।