দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুরের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা মধ্যেই অপর এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। দক্ষিণ কলকাতার ওই কিশোরী নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়েছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের ভাইজ্যাকে। সেখানেই বেসরকারি হস্টেলে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তার। ১৭ বছরের রীতিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা শুকদেব সাহা। তাঁর মেয়ে সুইসাইড করেছে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস গিয়েছিলেন রীতির নেতাজি নগরের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখা করেন রীতির বাবা এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রীতির বাবার ফোনে কথা বলিয়েছিলেন তিনি। ফোনে সহযোগিতার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রীতির বাবা। রবিবার দুপুরে রীতির বাড়িতে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।পরিবারের দাবি, গত ১৪ জুলাই রাত ১১ নাগাদ হস্টেলের সুপার ওই পড়ুয়ার বাবা ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে টালিগঞ্জের ওই ছাত্রী। পরের দিন বিশাখাপত্তনমে যান পড়ুয়ার বাবা-মা। ১৬ জুলাই হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেয়ের। মৃতার বাবা জানিয়েছে, প্রথমে যখন তাঁদের মেয়েকে ভিডিও কলে দেখানো হয়, তখন সে সুস্থই ছিল। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে মৃত্যু হল হস্টেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য। মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন। যাদবপুর কাণ্ডের মাঝে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে। রবিবার দুপুরে মৃতার বাবা সুকদেব সাহাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য এই রাজ্যের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। খুব শীঘ্রই যাতে রাজ্য থেকে একটি দল পাঠানো যায় ঘটনাস্থলে, সে বিষয়েও রাজ্য চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন, বিচার পাবেনই ওই নাবালিকা।