প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- এবার যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রাজ্যে পা রাখার পরেই যাদবপুর প্রসঙ্গে একাধিক বড় মন্তব্য করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ইউজিসি অ্যাক্টের আওতায় অ্যান্টি র্যাগিং সম্পর্কিত একাধিক ব্যবস্থাপনা করতে হয়। বসাতে হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। যাদবপুরে সেই সমস্তকিছু ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”তিনি আরও বলেন, “ইউজিসি-র নিয়ম মানতে বাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট যে পরামর্শ দিয়েছে তা লাগু করা এখানের সরকারের দায়িত্ব। স্লোগান দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে গেলে হবে না। যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলির বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও মানুষের জীবন অত্যন্ত দামি। তাঁর পরিবারের উপর কী প্রভাব পড়বে! সমাজে কী প্রভাব পড়বে! কারও অধিকার নেই এইভাবে তরুণদের জীবন নিয়ে খেলা করার।”প্রসঙ্গত, বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর বারবাবর খবরে উঠে এসেছে ক্যাম্পাসের অন্দরের ব়্যাগিং চর্চা। প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়েক অভ্যন্তরীন রাজনীতি। কাঠগড়ায় বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ব়্যাগিং রোধে রাঘবন কমিটি, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, ইউজিসি কারও নির্দেশই মানেনি যাদবপুর। এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। যার নাম গোটা দেশে। কিন্তু,সাম্প্রতিককালে সেখানে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ইউজিসি গোটা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কোনও ছাত্রের ব়্যাগিং করার অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের অবশ্যই হাইকোর্টের নির্দেশ মানা উচিত। এটা ওদের দায়িত্ব।”প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরেই পথে নেমেছে বিজেপি। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও তোলা হয়েছে। ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে আগেই শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর সাফ দাবি ছিল প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক। এবার ধর্মেন্দ্র প্রধান মুখ খোলায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি শিক্ষামহলেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে যাদবপুর নতুন অস্থায়ী উপাচার্যও পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর এ মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।