প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পুলিশ। গত ১৭ অগাস্ট আদালতের অনুমতি নিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ওই কর্মসূচির আয়োজন করে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা।অভিযোগ, যুব মোর্চার মিছিলের দিন পুলিশের উদ্দেশে কটূক্তি করেছিলেন শুভেন্দু। সেই কারণেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর দায়ের করতে চায় যাদবপুর থানা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, শুভেন্দুর আইনজীবীরা লিখিতভাবে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন। ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে।এদিনের শুনানির সময়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, নতুন আবেদন করা হয়েছে। সেখানে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদন করা হয়েছে পুলিশের তরফে। তাঁর কথায়, “সেদিন কী ভাষায় তিনি কথা বলেছেন, আমরা ভিডিয়ো দেখাতে পারি। শুভেন্দু পুলিশের কাজে যাদবপুরে বাধা দিয়েছেন। গালিগালাজ করেছেন পুলিশকে। ”কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাদবপুরের মিছিল থেকে শুভেন্দু ‘হুলিগান মমতার পুলিশ’ বলেছেন। আরও খারাপ খারাপ কথা বলেছেন।” তিনি বিচারপতির সামনে আরও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে একটি সম্প্রদায় নিয়ে কথা বলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর করে তুলেছেন। আমরা ১৭ অগাস্টের ঘটনায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।”বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন,”এফআইআর-এর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শেষ নির্দেশ দেখে বিবেচনা করব।” উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের দিন মোহনপুর থানার রামপুরা এলাকায় ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে এফআইআরে দাবি করা হয়েছিল, ওই ঘটনায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের উস্কানি ছিল। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের অন্তবর্তী নির্দেশ ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ থাকলে এফআইআর করা যাবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দেশের শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই মামলা বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সেই নির্দেশ দেখে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।