দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আজ, বুধবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসে পৌঁছলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির ডাকে যে তিনি সাড়া দেবেন তা তিনি আগেই বলেছিলেন। সেই কথা তিনি রাখলেন। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে না গিয়ে ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন। কালো গাড়ির কনভয় নিয়ে তিনি প্রবেশ করলেন সিজিও কমপ্লেক্সে।বুধবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ সকাল ১১টা ৪০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে তিনি হাজিরা দেন। তবে অভিষেককে সমন পাঠানো হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় আদালতে আশ্বাস দিয়েছে ইডি। কিছু তথ্য জানার জন্যই সমন করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে মন্তব্য ইডি-র আইনজীবীর। বিচারাধীন মামলায় পদক্ষেপ না করার পরামর্শ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। রক্ষাকবচ পেলেও আজ হাজিরায় যেতে হবে অভিষেককে। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকের দিনই কেন তলব? তৃণমূলের এই প্রশ্নেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।প্রসঙ্গত, সমন মানেই গ্রেফতারি নয়। আজ অভিষেকের হাজিরার আগেই কাল কোর্টে সওয়াল করে ইডি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানিতে ইডি বলে, ‘সমন পাঠানো হয়েছে মানেই গ্রেফতারের প্রশ্ন নেই। ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। নিজেরাই ভাবছেন গ্রেফতারের কথা।’ নিজেরা অযথা-ই আশঙ্কায় ভুগছেন বলেও মন্তব্য করে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে মে মাসে নিজাম প্যালেসে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় টানা ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ম্যারাথন জেরা করে সিবিআই। ম্যারাথন জেরার পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক দাবি করেছিলেন, ‘টানা সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরার নির্যাস হল শূন্য, আস্ত অশ্বডিম্ব। যারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের সময় নষ্ট এবং আমারও সময় নষ্ট।’