প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অধ্যক্ষকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এমন অভিযোগের কথা জানতে পেরে চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশ সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকলেন দলের রাজ্য সভাপতি। কড়া ভাষায় আরজি করের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দিলেন, এমন কাজ সহ্য করবে না দল। বরং সোজা ‘ঘাড় ধাক্কা’ দেওয়া হবে। আর জি কর-এর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের ডাকা হয়েছিল ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর, গোপন ওই বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। ‘ঘাড় ধরে সবাইকে বের করে দেব’, এমন কথাও বলতে শোনা যায় দশ মিনিটের ওই বৈঠকে। এমন কাজ যেন ভবিষ্যতে আর না করা হয়, সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর জি কর-এ নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত হয়।এদিকে আরজি কর হাসপাতালে অধ্যক্ষকে বাধা দেওয়া–সহ নানা বিষয়ে অচলাবস্থা চলছিল। আরজি কর হাসপাতালের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের তাই ডাকা হয়েছিল ওই বৈঠকে।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়। স্বাস্থ্যভবনের নিয়োগ করা নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে যায়। তখনই খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনিক স্তরে। আর খবর যায় নবান্নেও। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই খবর পেয়েই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সেখানে ছুটে যান। তখন তিনি জানান, রাজ্য সরকার এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবে না। তারপরই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে রাজ্য। গোটা বিষয়টি কানে যেতেই বিদেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।