প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- এবার জমি–বাড়ি কেনার পর দলিল মিলবে দুয়ারে। অর্থাৎ ’দুয়ারে দলিল’ পরিষেবা পাওয়া যাবে। এখন আর গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে থেকে দলিল জোগাড় করতে হবে না। এই সমস্যার হাত থেকে মিলতে চলেছে মুক্তি। সম্পত্তি কেনার পর দলিলের জন্য আর রেজিস্ট্রি অফিসে হত্যে দিতে হবে না। সরাসরি ডাকযোগে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে যাবে সম্পত্তির দলিল। নবান্ন সূত্রে খবর, নতুন এই পরিষেবা চালু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফর সেরে ফিরলেই এই প্রকল্পে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে।দেশের মধ্যে একমাত্র দক্ষিণ ভারতের এক রাজ্যে এই ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষেবা বাংলায় চালু করার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কী ধরনের পরিকাঠামো বা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডাকযোগে দলিল পাঠানোর খরচ যাতে ক্রেতার কাছে বাড়তি বোঝা মনে না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। নয়া পরিষেবা চালু হলেও, তারপর কিছুদিনের জন্য রেজিস্ট্রি অফিস থেকে হাতে হাতে দলিল তোলার ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রির সময় দেওয়া ঠিকানাতেই দলিল পৌঁছে যাবে। এখন রেজিস্ট্রির পর দলিল হাতে পেতে এক থেকে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়। প্রস্তাবিত নয়া পরিষেবা চালু হলে সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা। নয়া ব্যবস্থায় ক্রেতাকে রেজিস্ট্রির জন্য একবারই যেতে হবে। বারবার আসা-যাওয়ার দরকার পড়বে না।এখন দলিলের ‘সার্টিফায়েড কপি’ অনলাইনে পাওয়া যায়। আর মূল দলিল পেতে নির্দিষ্ট আইজিআর রশিদ নিয়ে ক্রেতাকে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তুলতে হয়। আবার আইনজীবীকে টাকা দিয়েও দলিল তোলা যায়। কিন্তু তাতে সময়, পরিশ্রম এবং খরচ তিনটিই হয়। আর দালালের খপ্পরে পড়লে তো কথাই নেই। এই দুর্ভোগ থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার এই ‘দুয়ারে দলিল’ পরিষেবা আনছে বলে সূত্রের খবর। অর্থ দফতরের এক অফিসারের কথায়, ‘এই দুয়ারে দলিল পরিষেবা পুরোদমে চালু হলে ক্রেতাকে রেজিস্ট্রির জন্য একবারই ওই অফিসে যেতে হবে। বারবার যাতায়াতের প্রয়োজন পড়বে না।’