দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- একাধিক বিষয়ে নবান্ন বনাম রাজভবনের সংঘাত লেগেই আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সেই টক্কর দেখা যাবে দুর্গাপুজোতেও। কারণ দুর্গাপুজোয় প্রত্যেক বছর বিশ্ববাংলা সম্মান দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্গাপুজোয় রাজভবন সম্মান জানাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীদের। আজ, বুধবার রাজভবনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ‘দুর্গাভারত সম্মান’ দেবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজভবনের তরফে একথাই জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে মনোনয়নও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আচমকা কেন রাজভবনের তরফে ‘দুর্গাভারত সম্মান’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু জোর জল্পনা।
রাজভবনের বিবৃতি অনুযায়ী মোট ১১টি বিভাগে পুরস্কৃত করা হবে।
শিল্পকলা: সংগীত, আঁকা, স্থাপত্য, ছবি, সিনেমা, থিয়েটার, আদিবাসী শিল্পকলা।
যেকোনও সমাজসেবামূলক কাজ।
আইন ও সমাজের প্রতি অবদান।
বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং: পরমাণু বিজ্ঞান, মহাকাশ প্রকৌশল।
তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা
বাণিজ্য এবং শিল্প: ব্যাঙ্ক, অর্থনীতি, ম্যানেজমেন্ট, পর্যটনের প্রচার, ব্যবসা।
চিকিৎসা: গবেষণা, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, সিদ্ধা, অ্যালোপাথি, নেচারোপ্যাথি।
সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, প্রকাশনা।
সাহিত্য, কবিতা, শিক্ষার প্রচার, সাক্ষরতার প্রচার প্রশাসনিক কর্মীদের দক্ষতা।
খেলাধূলা।
অন্যান্য: ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারক, মানবাধিকার রক্ষা, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে উদ্যোগী।
বাংলার দুর্গাপুজো পালন এবং তারপর দুর্গাপুজো কার্নিভাল। এই বিষয়টির আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দুর্গাপুজো কার্নিভালকে বাংলার পর্যটনের অন্যতম মূল আকর্ষণ হিসাবে তুলে ধরা হয়। আর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয় বিশ্ব বাংলা সম্মানও। এবার দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে নতুন উদ্যোগে সামিল হতে চায় রাজভবন। তাই আজ, বুধবার তারা পুরস্কারের বিশদ বিবরণ জানিয়ে একটি ঘোষণা করেছে। সেখানে আবেদনের জন্য চালু করা হয়েছে একটি ইমেল আইডি। এই পুরস্কার বা সম্মান পেতে আবেদন করতে হবে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। তাতে থাকতে হবে কৃতীদের নাম–সহ মনোনয়ন।