দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের কৃষি ভবন থেকে আটক করে মুখার্জি নগর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ | থানার ভিতর বসে স্লোগান দেন নেতারা |২ ঘন্টা পর পুলিশ লাইন থেকে বেরোলেন অভিষেক সহ তৃণমূল নেতৃত্ব | এদিন কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ভবনের বাইরে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে থাকেন অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতা কর্মীরা| কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা তাঁরা পাননি | এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে প্রবেশ করে দিল্লি পুলিশ | অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত তৃণমূল নেতাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ | প্রথমে রীতিমতো টানাহ্যাঁচড়া, চ্যাংদোলা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতাদের আটক করে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ বলে অভিযোগ | নয়াদিল্লির মুখার্জী নগর থানার অধীনস্থ একটি ক্যাম্পে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের বসিয়ে রাখে পুলিশ | তৃণমূলের একাধিক সাংসদ, মন্ত্রীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়,মহুয়া মৈত্রকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে কৃষি ভবনের বাইরে নিয়ে আসে মহিলা পুলিশ | নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সেই সমস্ত ভিডিও পোস্ট করে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভব্যতার আচরণ তুলেছেন শান্তনুু সেন, মহুয়া মৈত্রের মতো তৃণমূল সাংসদরা |এদিন বিকালে কৃষি ভবনের দিকে হেঁটে রওনা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল | নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কৃষি ভবনের ভিতরে ঢুকতেই গোটা এলাকার দখল নেয় পুুলিশ | শোনা যাচ্ছিল আটক করা হতে পারে তৃণমূল সাংসদদের। সেই জল্পনাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল| রাত ন’টা নাগাদ অভিষেক-সহ পুরো প্রতিনিধি দলকে কৃষি ভবনের ভিতরে আটক করে দিল্লি পুলিশ | এদিন কৃষি ভবনে যাওয়ার আগে অভিষেক বলেন, “এই সভায় সকাল ১১টা থেকে সবাই এসে উপস্থিত হয়েছেন গত পরশু রাতে রাজধানী এসেছি | গতকাল দিল্লিতে কর্মসূচি ছিল | গতকাল র্যাফ, আধাসামরিক বাহিনী, দিল্লি পুলিশের আধিকারিক নেমেছিল ৫০ জন সাংসদ আটকাতে | আজকেও এমন ভাবে পুলিশ আধাসামরিক বাহিনী, নামানো হয়েছে যেন ভারত-চীন যুদ্ধ হচ্ছে। রোজ মণিপুর জ্বলছে | আর আমাদের সভা আটকাতে অমিত শাহের পুলিশ নেমে পড়েছে | মন্ত্রী দেখা করল না, রেল বাতিল হল, তারপরেও সভা হল | এরপরেও আমরা সরে আসিনি | কারণ আমাদের মেরুদণ্ড সোজা | ধমকে চমকে লাভ নেই |”