দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কামদুনি কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ। সুবিচারের দাবিতে এবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা-সহ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কলকাতা বিমানবন্দর ছাড়ার আগে মৌসুমীর জানান, আজ, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবেন তাঁরা | আইনি সহযোগিতার জন্য প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা তাঁদের | তিনিই মৌসুমিদের হয়ে সওয়াল করবেন | ওই বৈঠকের পরেই পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করা হবে | মৌসুমীর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে অপরাধীদের ফাঁসির সাজা রদ করেছে, তাতে বিচারব্যবস্থার উপর থেকেই যেন আস্থা ভরসা হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের। তবে ক্ষিণ আশা, সুপ্রিম কোর্টে হয়তো সুবিচার মিলবে৷ তাঁদের আরও দাবি, রাজ্য সরকারের গাফিলতির কারণেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় চার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুক্তি পেয়েছে | বিস্ফোরক দাবি করেছেন কামদুনিকাণ্ডের আরও এক প্রতিবাদী মুখ টুম্পা। তাঁর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় বড় আইনজীবীর সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, কামদুনি কাণ্ডে তেমন কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি। খুবই হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও তাঁদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গুরুত্ব দেয়নি৷ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের ঢেউ যে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মৌসুমী-টুম্পারা।