প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-টানা ৫৩ ঘণ্টা জেরার পর আটক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। বাগুইআটির অভিজাত আবাসন থেকে আটক করা হয়েছে তাঁকে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির নজরে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তিনি থাকতেন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে। শোনা যায়, এক মন্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর। বুধবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চলে টানা তল্লাশি। বেলা ১২টা নাগাদ আটক করা হয় ব্যবসায়ীকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডির সঙ্গে গাড়িতে ওঠার সময় মন্ত্রী যোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি বাকিবুর। শুধু জানান, তিনি ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর বাড়িতে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যা তদন্ত এগোতে সহযোগিতা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।গত বুধবার থেকে বাকিবুরের বাগুইআটির ফ্ল্যাট, নদিয়ার একাধিক চালক ও আটাকলে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। বারিবুরের বাগুইআটির বাড়িতে টানা ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা। এরপর অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গাড়ি করে তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর ও তাঁর শ্যালকের অভিষেক বিশ্বাসের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি করে প্রচুর নগদ, ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। বাকিবুরের শ্যালক জানিয়েছেন, তাঁর ঠিকানা থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নগদ তাঁর জামাইবাবু বাকিবুরের। ইডি সূত্রে খবর, সরকারের কাছ থেকে সস্তায় ধান কিনে সরকারকে চাল দেননি বাকিবুর। দুর্নীতির সেই টাকা রেস্তোরাঁ, পানশালা ও হোটেলে বিনিয়োগ করেছেন তিনি।এদিন ইডির গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ধৃত ব্যবসায়ীকে জেরা করে নতুন কোন দুর্নীতির সন্ধান পান ইডির গোয়েন্দারা সেটাই দেখার।