দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিজেপি পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই ২৯ নভেম্বরের সভার সুর বেঁধে দিলেন তিনি। বিজেপির বক্তব্য, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ঢুকছে, অথচ রাজ্যে কাজ হচ্ছে না। এই সভা মূলত তাঁদের নিয়েই, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকারের অভিযোগ তুলছেন এবং রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন। এদিনের সভায় বিজেপি মূলত প্রমাণ করতে চাইছে, রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে বলে বহু মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন প্রাপ্য সুবিধা থেকে। এক্ষেত্রে আবাস যোজনার ঘর হতে পারে কিংবা ১০০ দিনের কাজের টাকা, পানীয় জলের সংযোগ যায় কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।বঞ্চনা’ ইস্যুতে এবার তৃণমূলেরই সুর বিজেপি বিধায়কদের গলায়। শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে এই ইস্যুতে সরব হলেন দলের বিধায়করা। সাফ জানালেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সমস্যায় প্রান্তিক মানুষজন। যত দ্রুত সম্ভব, কেন্দ্রকে এই টাকা দেওয়ার কথা বলুন সুকান্ত মজুমদার। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হোক। বিধায়কদের এই কথা শুনে সুকান্তবাবু আশ্বাস দেন, তিনি অবশ্যই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন।শুক্রবার বিজেপির পরিষদীয় দলের যে বৈঠক ছিল, সেখানে সুকান্ত মজুমদার আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বিধায়কদের বলেছেন। তৃণমূলের তরফে বারবার টাকা বন্ধের অভিযোগ করা হয়। সেক্ষেত্রে কারা সত্যিই কাজ করে টাকা পাননি, তাদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্যও বিধায়কদের বলেছেন বলেই সূত্রের খবর।সূত্রের দাবি, সুকান্ত বলেন, এই বিষয় কী কী তথ্য রয়েছে, সব জোগাড় করে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলবেন। কারা কারা টাকা পাচ্ছেন না, তা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানাবেন। এই বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বারংবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই টাকা বন্ধ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গরিব মানুষ টাকা পাক, এটা আমরাও চাই। কিন্তু সেই গরিব মানুষ কারা, তা চিহ্নিত হওয়া দরকার।” টাকা বন্ধ ঠিক হচ্ছে কি না মানুষের থেকেই জানতে চায় বিজেপি। সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লিতে।