দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-বিধানসভার চলতি অধিবেশন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও গত বছর মার্চে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে বিধানসভা সচিবের ঘরে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি পরিষদীয় দল। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে সচিব সুকুমার রায়ের কাছে আবেদন জমা দেন।এদিন প্রথম দফায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিজেপি | দ্বিতীয় অর্ধে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই অনেককে গ্রেপ্তার করছে। তৃণমূল বলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” তখনই শাসকদলের বিধায়করা বিরোধিতায় সরব হন। এর পরই দলবদল করা বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মন্তব্য করেন শংকর। যা বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। এর পরই সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের অভিযোগ, স্পিকারকে অসম্মান করে শুভেন্দু বলেন, “আপনি সংবিধানবিরোধী। আপনার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।” শাসকদলের বিধায়কদের আরও দাবি সেই সময় কাগজ ছিঁড়ে স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুড়ে দেন বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে হট্টগোল বেঁধে যায়। স্পিকারের তরফে শুভেন্দুকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়। স্পিকার বলতে থাকেন, “আপনাকে বারবার সতর্ক করছি। আই ওয়ার্ন ইউ।” তখন বিরোধী দলনেতা ফের শিষ্টাচার ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ তৃৃণমূলের দাবি। এরপরই বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার জন্য ১৮৫-এর প্রস্তাব (মোশন) আনেন তাপস রায়। তাতে সম্মত হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন। যদিও অধিবেশন কক্ষের বাইরে এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা একদম অবাঞ্ছিত ঘটনা। রাস্তায় গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে যে চিৎকার করা যায়, সেটা যে বিধানসভায় করা যায় না এই বোধটা থাকা দরকার। একদিকে সংবিধানের কথা বলবেন, অন্যদিকে সংবিধান অবমাননা করবেন এটা ঠিক নয়।”
পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপির যা কাজ আমরা তাই করেছি। ওদের ১৭০-৮০-৯০টা লোক চোর চোর শুনেছে। তৃণমূল মানেই চোর। শুনেছে এবং মাথা নিচু করে বিজেপির বিধায়কদের সামনে দিয়ে গিয়েছে। বিধানসভার ভিতরে, বাইরে, গেটে, ,সামনে, পিছনে সর্বত্র চোর শুনতে হচ্ছে।”