প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- বৃহস্পতিবার নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। থালা–বাঁশি বাজিয়ে ধরনায় বসলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। তাঁদের দেখে পালটা ‘চোর’ স্লোগান দিয়ে চায়ের বাসন বাজিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপিও। তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ দেখে মেজাজ হারিয়ে বিধানসভা লবির উলটোদিকে ধরনায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী। থালার পরিবর্তে বিজেপি বিধায়করা চায়ের বাসন বাজিয়ে শোরগোল ফেলার চেষ্টা করেন।এ যেন থালা বাজানোর প্রতিযোগিতা! বিক্ষোভ, ধরনার নামে কে কত জোরে থালা, বাঁশি বাজাতে পারে, বিধানসভায় সেই লড়াইয়ে নেমেছেন বিধায়করা। দুপুরেই থালা বাজিয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। তৃণমূলের সেই বিক্ষোভ দেখে মেজাজ হারান শুভেন্দু অধিকারী। ‘বাপ চোর বেটা চোর’ – তৃণমূলের এই স্লোগান শুনে ফের লবিতে গিয়ে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁরাও পালটা পোস্টার, চায়ের বাসন, থালা, কাপ রাখার বড় প্লেট নিয়ে আসেন। তৃণমূলের উলটোদিকে বসে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। দু দলের এই থালা, বাসন বাজানোর জেরে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধানসভার বাইরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।এদিকে, জাতীয় সংগীতের অবমাননা ও বিনা অনুমতিতে বিধানসভায় ধরনা মামলায় বিজেপির ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও শুভেন্দু অধিকারীর নামে FIR করা যাচ্ছে না। তার কারণ, আইনি বাধা। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার আগে হাই কোর্টের অনুমতি লাগবে। সেই কারণে শুভেন্দুর নেতৃত্বে ধরনা হলেও, তাঁর নামে কোনও এফআইআর করা যাচ্ছে না।এনিয়ে পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”শুভেন্দু আবার কাকে চোর বলছে? ও নিজেই তো চোর। সিবিআইয়ের এফআইআরে ওর নাম আছে। ও বদ্ধ উন্মাদের মতো আচরণ করছে। চোখ দেখেছেন? পুরো উন্মাদ হয়ে গিয়েছে।”