দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ধর্মতলার পর খেজুরিতেও শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর সভায় একাধিক শর্ত চাপালেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাঁর প্রশ্ন, বারবার বিরোধীদের সভা করার জন্য আদালতে আসতে হচ্ছে কেন? শাসকদল কি সভা করার জন্য একই শর্ত মেনে আবেদন করে?শাহি সভার পর এবার শুভেন্দুর সভাতেও অনুমতি হাইকোর্টের। আগামী ২ ডিসেম্বর বিজেপির খেজুরির সভায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। যে সভায় উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুপুর ২টো থেকে ৫টা সভা। বিজেপির খেজুরির সভাকে অনুমতি দেওয়ার দিনেও আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। শাসক দল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিসকে জানায়? সবসময় কেন বিরোধী দলকে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে? মঞ্চের আয়তন জানতে চাইছেন কেন ? শেষবার যখন শাসক দল সভা করেছিল, তখন মঞ্চের আয়তন জানতে চেয়েছিলেন? বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একের পর এক চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে এদিন পড়ে রাজ্য। প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় শাহি সভার খেজুরিতে শুভেন্দুর সভাকেও প্রথমে অনুমতি দেয়নি পুলিস। পুলিশ অনুমতি না দেওয়াতেই, আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ২ শর্তে ২ ডিসেম্বরের খেজুরির বিজেপির সভাকে অনুমতি দেন। সভা প্রসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, শব্দবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সভা করতে হবে। কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না।বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ শুক্রবার শুভেন্দুকে শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিয়ে দিল। বিচারপতি জানিয়েছেন, শব্দবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে। কোনওরকম উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সভা চলবে। শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, বারবার বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে আদালতে কেন আসতে হচ্ছে? শাসকদল কি এত আগে থেকে সভার অনুমতি চায়? অর্থাৎ আদালতের প্রশ্ন, যে যে মাপকাঠিতে বিরোধীদের সভা বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলি শাসকদল মেনে চলে তো?