দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-
হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে মাঝেমধ্যেই রোগীমৃত্যু ঘিরে চিকিৎসক ও নার্সদের নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়। এমন খবর বার বার উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখেও সেই একই সুর। দন্ত চিকিৎসকদের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের পরিস্থিতির কথা বললেন তিনি। বাংলার সাংবিধানিক প্রধান বলেন, “যখন কেউ চিকিৎসা পরিষেবা সন্তুষ্ট হয় না, বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণে… তখন ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। এটি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।”গত ৩০ নভেম্বর থেকে দন্ত চিকিৎসকদের জাতীয় কনফারেন্স শুরু হয় কলকাতার সায়েন্স সিটি কমপ্লেক্সে। এটা আগামীকাল, রবিবার পর্যন্ত চলবে। এই কনফারেন্সেই আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই চিকিৎসক–নার্সদের উপর আমলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু ‘রাজনৈতিক কারণ’ উল্লেখ করার জেরে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। কারণ এক, রোগীর পরিবারের সদস্যরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এমন করে বলে বিষয়টি মনে করা হচ্ছে। দুই, কিছু ঘটনার পিছনে রাজনীতি আছেও বোঝায়। কোনটি ঠিক বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্যপাল তা খোলসা করেননি।একাধিকবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে রোগীর কোনও কারণে মৃত্যু হলে অভিযোগ ওঠে সঠিক পরিষেবা মেলেনি। আবার কখনও অভিযোগ সঠিকই থাকে। তবে যেটাই হোক হামলা হয় চিকিৎসক–নার্সদের উপর। আবার এসব অভিযোগ নিয়ে আগে কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত মামলা হয়েছে। ২০২৩ সালেরই অগস্ট মাসে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এমন একটি মামলা উঠেছিল। সেখানে অভিযোগকারী চিকিৎসকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর রাজ্যপালের কথায়, ‘এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার। চিকিৎসক হোক বা অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ, প্রত্যেকেই নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন।’