দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য আগেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম একটি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এবার কড়া নির্দেশ দিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেসব প্রার্থীরা চাকরি করছেন, তাঁদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে বর্তমানে ২০ হাজার জনেরও বেশি চাকরি করছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কী রয়েছে, তা জানিয়ে এই চাকরিজীবীদের প্রত্যেককে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে যাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও নোটিস পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
বুধবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, এই মামলার রায় যে দিকেই যাক তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জানুয়ারি।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের বেঞ্চে চলছে মামলাগুলির শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ৬ মাসের মধ্যে এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি শেষ করতে হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চকে। এছাড়া সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৯ জানুয়ারি এই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই। ১২ জানুয়ারি শুক্রবার হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal