প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-টানা ৬ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে পাহাড়ে রওনা দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যাবার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নর উত্তর দিতে গিয়ে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপিকে। উত্তরবঙ্গে তাঁর ঠাসা কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্যের বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। প্রাপ্যের দাবিতে সংসদ সরব রাজ্যের শাসকদলের সাংসদরা। তবু হেলদোল নেই কেন্দ্রের। এর মধ্যেই ফের একবার ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার ‘গরমিল’ খুঁজতে বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের তরফে পঞ্চায়েত দপ্তরকে লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সরকারের আমলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। তা খুঁজতে ফের বাংলায় আসছে প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় দল। যদিও এই কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনকে আমল দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ওঁরা পকেটমার। মানুষের পকেট কাটে। এর আগে ১০৭টি দল এসেছে। আরও দল আসুক। এরা বিজেপিকে রাজনৈতিক অক্সিজেন জোগাতে আসে। ও করেগা, হাম লড়েগা।”গতকালেই বিধানসভায় চোর চোর স্লোগান তুলেছে বিজেপি। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরক্ত মমতা বলেন, ‘এসব শুনতেও খারাপ লাগে। যারা পকেটমার তারা পকেটমার পকেটমার বলে চিৎকার করে। ওরা সবচেয়ে বড় পকেটমার। দেশের মানুষের পকেট সবচেয়ে বেশি কেটেছে ওরাই। বলুন না, নোটবন্দি থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেব বলা থেকে শুরু করে কোভিডের সময়ে ফ্রি রেশন দেওয়া, অনেক কিছুই করেছে ওরা। সেই ফ্রি রেশন বন্ধ কেন করে দিয়েছে ওরা? আমাদের এখানে আমরা মিথ্যে কথা বলি না। ভোটে এলেই কিছু কথা ওরা বলে। তারপর ভাঁওতা দেয়। ভোটের সময় কিছু বলে, ভোট ফুরোলে অন্য কথা বলে। ওদের মতো আমরা পারি না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্তের জন্য ওরা বহু টিম পাঠিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য ওরা আসছে।’আগামী ৬ দিনের অনুষ্ঠাসূচি নিয়ে মমতা বলেন, ‘পরশু দিন কার্শিয়াংয়ে অনুষ্ঠান করব। কারণ কার্শিয়াং, কালিম্পং, দার্জিলিং, মিরিকে অনেক অনুষ্ঠানে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। সেসব আমরা বিতরণ করব। আগামী ৯ তারিখে বাগডোগরায় ফিরে এসে হাসিমারা হয়ে আলিপুরদুয়ার যাব। দশ তারিখে আমার আলিপুরদুয়ারে মিটিং আছে। ওখানে মিটিং করে ১১ ডিসেম্বর চলে যাব বানারহাটে। ওইদিনই উত্তর কন্যায় ফিরে আসব। পারদিন শিলিগুড়িতে কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিনই কলকাতায় ফিরে আসব।’