প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বিরাট রদবদল। দলের কোর কমিটি ভেঙে দিয়ে লোকসভার কথা মাথায় রেখে নতুন নির্বাচনী কমিটি গঠন করল গেরুয়া শিবির।এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। রাজ্যে এসে ভোটের ‘ম্যানেজমেন্ট টিম’ তৈরি করে দিলেন শাহ। ১৫ জনকে নিয়ে সেই তালিকা তৈরি করা হল মঙ্গলবার। রাজ্য বিজেপির যে কোর কমিটি রয়েছে, তার সব সদস্য জায়গা পেলেন না নির্বাচনী কোর টিমে। চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও জায়গা পাননি। মঙ্গলবার এই সদস্যদের সঙ্গেই বিধাননগরের হোটেলে বৈঠক করেন শাহ ও নাড্ডা। সেখানেই এই তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্য বিজেপির শাসক শিবিরের চাপে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া দিলীপ ঘোষ ফের ওই কোর কমিটিতে জায়গা পেলেন। জায়গা পেলেন আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও।
১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, দলের পাঁচ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন, আশা লাকড়া, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং সুনীল বনসল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোর কমিটির সব সদস্যকে দলের নির্বাচনী কমিটিতে রাখা হয়নি। বদলে রাখা হয়েছে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে। দলের রাজ্য নেতাদের উপর যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ ভরসা নেই, সেটাও স্পষ্ট এই সিদ্ধান্ত থেকেই বোঝা যায়।এই টিমের কাজ হবে নির্বাচন সংক্রান্ত সব কাজ দেখা। কোথায়, কীভাবে প্রচার হবে, কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে আসবেন- এই সব ঠিক করার দায়িত্ব থাকবে এই নেতাদের কাঁধেই। রাজ্য বিজেপিতে যখন বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে, তার মধ্যে এই টিম গঠন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ১৫ জনকেই এদিন বৈঠকে ডেকেছিলেন শাহ-নাড্ডা। নির্বাচনী কোর কমিটিতে জায়গা পাননি চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী- নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার ও জন বার্লা| এদিকে, মঙ্গলবার শাহ ও নাড্ডার বৈঠকের পর বুধবারই বিজেপির রাজ্য কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।