দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে সংক্ষেপে সেই লড়াইয়ের বার্তাই দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পয়লা জানুয়ারির সকালে সোশাল মিডিয়ায় মমতা ও অভিষেকের ছবি ও বার্তা দেওয়া একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দলের সমস্ত কর্মী, সমর্থকদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি নতুন বছর থেকে নয়া উদ্যমে আগামীর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। এদিন সকালেই X হ্যান্ডলে তা পোস্ট করেন তৃণমূল সুপ্রিমো |
পোস্টে দলনেত্রী লিখেছেন, ”কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত নয়। সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সংগ্রাম আজীবন চলবে।” এতেই স্পষ্ট তাঁর লড়াইয়ের মূল প্রতিপক্ষ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল এবং তাদের ‘জুলুমবাজি’। একইভাবে লডা়ইয়ের বার্তা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই পালিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি অবধি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এর পাশাপাশি সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গকে সম্মানিত করা এবং গান্ধীজি, নেতাজি, বিবেকানন্দ, আম্বেদকরের মতো মনীষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।১২ জানুয়ারি মর্যাদা সহকারে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত ব্লক, ওয়ার্ড ও অঞ্চলে। অনুষ্ঠান বা মিছিলের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের পাশাপাশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীও পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকর্মীদের। সমস্ত ব্লক ও ওয়ার্ডে ‘সুভাষ উৎসব’ পালনের কথা বলা হয়েছে তৃণমূলে নির্দেশিকায়।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস কীভাবে উদযাপন করা হবে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ রয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশ এবং দলের পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব রাজ্যবাসীকে বোঝানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। কেন সংবিধানকে রক্ষা করা প্রয়োজন তাও জানাতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মানুষ এবং হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে ফল ও বস্ত্র বিতরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।