Breaking News

পিকনিক থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা!জেনারেটর ফ্যানের সঙ্গে চুল জড়িয়ে বেরিয়ে এল খুলি, মৃত্যু দশম শ্রেণির ছাত্রীর

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন কিশোরী। তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জেনারেটরের পাখার বেল্টে সঙ্গে মাথার চুল জড়িয়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রী। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রাম থানার গোমাই গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রুমা দাস(১৫)। কেতুগ্রাম আশুতোষ মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। গোমাই গ্রামের কাছে ঈশানী নদীর ধারে পিকনিক করে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। চলন্ত জেনারেটরের চাকায় তার চুল জড়িয়ে যায়। মাথা কার্যত থেঁতলে যায়। তড়িঘড়ি ছাত্রীকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতে দেহটি কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার দেহটির ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। যদিও এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জেনারেটর ভ্যানটিকে আটক করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোমাই গ্রামের বাসিন্দা রবি দাস ও রূপালীদেবীর একমাত্র কন্যা রুমা। রবিবাবুর এক ছেলে কয়েকবছর আগে রোগভোগে মারা যায়। রবিবাবু কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর কাছে কাজ করেন। জানা গিয়েছে, সোমবার গ্রামেরই প্রায় ৪৫-৫০ জন ছাত্রছাত্রী মিলে ঈশানী নদীর ধারে পিকনিক করতে যায়।

পিকনিকে মাইক বাজানোর জন্য তারা জেনারেটর ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিল। পিকনিক সেরে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরভ্যানে জেনারেটর চাপিয়ে মাইক বাজিয়ে দলটি ফিরছিল। অনেকেই নাচানাচি করছিল। রুমা লাফিয়ে ওই মোটরভ্যানে চাপতে যায়। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।কিশোরীর আত্মীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের জেঠু সুভাষ দাস বলেন, “পিকনিক করে ফেরার পথে ভটভটি গাড়িতে জেনারেটর ছিল। ও সেখানে বসতে যায়। আর চুল ফ্যানের ভিতরে আটকে যায়। তখনই মারা গিয়েছে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *