Breaking News

বাবার সম্পত্তির মালিক হওয়ার পথে বাধা বোন!যুবতীকে খুন ‘ভিক্ষাদাদা’র,সালানপুরে যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের কিনারা

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সালানপুরের যুবতী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘ভিক্ষাদাদা’। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তি নিয়ে বচসার জেরেই ‘ভিক্ষাদাদা’র হাতে বোনকে খুন হতে হয়েছে। সালানপুর থানার পুলিশ ধৃতকে আদালতে পাঠায়।বৃহস্পতিবার সকালে সালানপুর থানার মাধাইচক ও বোলকুন্ডা রাস্তার পাশে জঙ্গল থেকে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার অভিযোগ করে খুনের। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সালানপুর থানার পুলিস। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই পুলিস মৃতার ‘ভিক্ষে দাদা’ লাল্টু চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। সালানপুর থানার মাধাইচক থেকে বোলকুন্ডা যাওয়ার রাস্তার পাশেই মিঠু রায়ের অর্ধনগ্ন অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা ধর্ষণের অভিযোগ করলেও ময়নাতদন্তের পর জানা যায় শারীরিক অত্যাচার হয়নি। সেরকম কোনও অত্যাচারেরও চিহ্ন তাঁর শরীরে পাওয়া যায়নি।

তবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মিঠু রায়ের বাবা দামোদর রায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মিঠু রায়কে (৩৪) খুন করেছে তাঁরই ‘ভিক্ষাদাদা’ লাল্টু চট্টোপাধ্যায় (৪০)।তদন্ত নেমে মিঠু রায়ের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস বের করে। পরীক্ষা করে জানতে পারে বোলকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মিঠুর ‘ভিক্ষাদাদা’ লাল্টুর সঙ্গে তাঁর সবথেকে বেশি কথা হয়। সন্দেহের বসেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে লাল্টু স্বীকার করেন, দামোদর রায়ের সম্পত্তি নিয়ে তাঁর সঙ্গে মিঠুর দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। জানা গিয়েছে, দামোদরের সব সম্পত্তির হিসেবনিকেশ বহুদিন ধরেই লাল্টু রাখতেন। এদিকে বয়স বাড়তেই মিঠু সেই হিসেবনিকেশ দেখতে চাইতেন। তা নিয়েই অশান্তি। দামোদর আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর সম্পত্তি সমান দুই ভাগে ভাগ হবে। এতে আপত্তি ছিল মিঠুর। মিঠু ও লাল্টু দুজনেই সম্পূর্ণ সম্পত্তির অধিকার চাইছিলেন। মিঠু নিজের সমস্ত খরচ লালটুকে দিতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *