দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আবার নতুন করে নবান্ন–রাজভবন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এবার রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন। এই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই গিয়েছে বলে মনে করছে রাজভবন। তবে এই চিঠি পেয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে ৮টি পয়েন্ট লেখা রয়েছে। যা পড়ে বেজায় চটেছেন রাজভবনের বাসিন্দা। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যপাল টেলিফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে ফের নয়া মোড়। রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে কার্যত উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে উপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। রাজভবনের সেই চিঠির পালটা উত্তর দিয়ে শুক্রবার রাজভবনে চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দপ্তর।
যে চিঠিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, রাজভবনের চিঠিতে উল্লিখিত মন্তব্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থী এবং আইন মোতাবেক রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার অধিকার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অকারণে উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পর্কে বিরক্তিকর শব্দ লেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসন এবং ম্যানেজমেন্টে একাধিক কর্তব্য রয়েছে। সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, উপাচার্যকে নিয়োগ করার জন্য রাজ্য সরকার আছে। আবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটাও এই চিঠিতে প্রথম চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। সুতরাং রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতরকে বিরক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে কড়া ভাষা লেগেছে বলে সূত্রের খবর।