দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-শুধুমাত্র দীর্ঘ দিন চাকরি করেছেন বলেই অবৈধ ভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না। এসএসসি নিয়োগ মামলায় মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সোমবার মামলাটির শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি বলেন, ‘‘কে কত দিন কাজ করেছেন, সেটা বড় বিষয় না, মূল বিচার্য বিষয় হচ্ছে, নিয়োগ বৈধ কি না।’’এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময়ে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তখন বলেন, “সেটাই করা হয়নি। যে কোনও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান তাই করে৷ এক্ষেত্রে এসএসসি সেটা করেনি। সম্পূর্ণ তালিকা দেয়নি। স্ক্যান করে বলেনি এত জন ভুল ভাবে চাকরি পেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথ নথি ছাড়া আইনজীবীদের বাদ দিয়ে নিজেরাই এটা করেছে। ১৮৩ সঠিক নয়।” তিনি আবারও বলেন, “আবার অনুরোধ করব, যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা সম্পূর্ণ দেওয়া হোক।”সেসময় বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পুরো প্যানেল কি বাতিল করার দরকার আছে? নাকি যাঁরা ভুয়ো নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বাতিল করলেই চলবে?” বিচারপতি বিস্ময়প্রকাশ করে বলেন, “মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়!”বিচারপতির এই মন্তব্যের অবশ্য পাল্টা যুক্তি দেন রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একক বেঞ্চের নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চকে নিয়ে সব সময় ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত এসএসসি। আর মামলাকারীও বেছে বেছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই সমস্ত মামলা করেছিলেন। কেন তিন বছরে অন্য বেঞ্চে মামলা দায়ের করেননি মামলাকারীরা?”কল্যাণ যুক্তি হিসাবে এ-ও বলেন যে,‘‘কেউ কোথাও ঘুষ দিয়ে থাকলে বা ঘুষ নিয়ে থাকলে তার মানে এই নয় যে আমি খারাপ। ভালো এবং খারাপের বিভাজন করা হোক।”