দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অস্বস্তি বাড়ল নুসরত জাহানের। নিম্ন আদালতে ধাক্কা বসিরহাটের সাংসদের। নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে। আলিপুর জজ কোর্ট মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে যতবার আলিপুরের আদালতে ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার শুনানি হয়েছে, নানা কারণ দেখিয়ে হাজির থাকেননি নুসরত জাহান। তবে মঙ্গলবার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আদালতে আসতেই হবে এই তারকা-সাংসদকে। এরপর যেদিন মামলার শুনানি হবে, হাজির হতে হবে নুসরতকে।
এর আগে নুসরত নিজে না এসে, তাঁর আইনজীবীকে পাঠিয়েছেন আদালতে। এবার আর তা সম্ভব না।মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের বিচারক জানিয়ে দেন, মামলার শুনানিতে কয়েকদিন নুসরতকে হাজিরা দিতেই হবে। এর আগে আলিপুর আদালতে সাংসদের আবেদন ছিল, তিনি সশরীরে আসতে পারবেন না, আইনজীবী মারফত সমস্ত নথি পাঠাবেন। তা যেন গ্রহণ করে আদালত। কিন্তু তা খারিজ হয়। এর পর নুসরত আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাতেও ধাক্কা। আলিপুর জজ কোর্টের বিচারক জানান, শুনানির শুরুতে তাঁকে কয়েকদিন আদালতের সশরীরে থাকতেই হবে। যদিও এই নির্দেশ নিয়ে এখনও নুসরতের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে ‘সেভেন্থ সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা নেন নুসরত। তার হিসেব দেননি। সেই টাকা তিনি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত বছর গড়িয়াহাট থানায় নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিশ্রুতি পাওয়া ব্যক্তিরা। এর পর বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে তাঁরা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডি দপ্তরে তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জানান।পরের দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেসব অভিযোগ খারিজ করেন বসিরহাটের সাংসদ। দাবি করেন, তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। এছাড়া ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে খুব কম সময়ের জন্যই ছিলেন। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। কিন্তু আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় এবার আলিপুর জজ কোর্টে ‘ধাক্কা’ খেতে হল তাঁকে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal