প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- লোকসভা ভোটের আগে সব জেলায় সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল করল তৃণমূল। সব জেলাতেই ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। বদল আনা হয়েছে ব্লক সহ সভাপতি পদেও। তবে কোথাও কোথাও পুরোনো ব্লক সভাপতিদেরই রেখে দেওয়া হয়েছে।নবীন ও প্রবীণ সমন্বয়ে এই তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতির কর্মসূচিতে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। যে সমস্ত সাংগঠনিক জেলার ব্লক সভাপতি ঘোষণা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল–কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, আরামবাগ, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, বহরমপুর, তমলুক, কাঁথি, রানাঘাট, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, মেদিনীপুর, মালদহ, ঝাড়গ্রাম, জঙ্গিপুর, জলপাইগুড়ি, হাওড়া গ্রামীণ ও শহরতলি, হুগলি-শ্রীরামপুর, ঘাটাল, দক্ষিণ দিনাজপুর।দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতেই ব্লক স্তরে বদল আনা হল।হুগলি জেলার দুটি সাংগঠনিক জেলা একটি হুগলি-শ্রীরামপুর ও অপরটি আরামবাগ। মোট ১৮ টি ব্লকের সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার। যার মধ্যে দশটি ব্লকে পুরনো সভাপতিদের রাখা হলেও আটটি ব্লকের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সিঙুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ ধাড়াকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে আনন্দ মোহন ঘোষকে। অপরদিকে, চন্ডীতলা ১ ব্লকের সভাপতি ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে সনৎ সাঙ্কিকে। অন্যদিকে পান্ডুয়া ব্লকের সঞ্জয় ঘোষকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হল আনিসুর ইসলাম মোল্লাকে। চুঁচুড়া মগড়া ব্লক সভাপতি ছিলেন বিকাশ রায়কে সরিয়ে তাপস চক্রবর্তীকে সভাপতি করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর, ব্লক সভাপতিদের বদল করার ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বেশ কিছু জেলায় ব্লক সভাপতিদের নিয়ে জেলা নেতৃত্বের অসন্তোষ রয়েছে। সেই অসন্তোষ কোথাও কোথাও সংঘর্ষের চেহারাও নিয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের কারও কারও মতে, ভোটের কয়েক মাস আগে ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি করা একটু ঝুঁকির কাজ হয়ে গেল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal