প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠির সূত্র ধরে বনগাঁর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এবার এই চিঠি নিয়েই বিস্ফোরক দাবি রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতার। হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে চিঠি লেখার জন্য কাগজ, পেন পেলেন ধৃত মন্ত্রী, প্রশ্ন তুললেন শঙ্কর আঢ্য। রেশন দুর্নীতি মামলায় কোনওভাবেই জড়িত নন বলেও আরও একবার দাবি করলেন তিনি।গ্রেফতারির পর থেকেই তিনি দাবি করে আসছিলেন, তাঁকে নাকি ফাঁসানো হচ্ছে। আর আজ ফের একবার সেই চক্রান্তের তত্ত্বই শোনা গেল বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর গলায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে কাগজ-পেন পেলেন, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন শঙ্কর। বললেন, “উনি কাস্টডিতে কীভাবে পেন পেলেন, কীভাবে কাগজ পেলেন? সেটাই আগে বোঝা যাক। এটা শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রেশন দুর্নীতি মামলায়। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে এই শঙ্কর আঢ্যর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। গ্রেফতারির পর হাসপাতালে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়র একটি চিঠিও নাকি ইডির হাতে এসেছে। ইডির দাবি, সেখানে নাম ছিল শঙ্করের। শঙ্করকে যেদিন বনগাঁর বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে, সেদিনও বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়র জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক সম্পর্কই ছিল তাঁদের।শঙ্কর আঢ্যর ইডি হেফাজত শেষ হয়েছে শনিবার। এদিনই তাঁকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করার কথা। তার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় আরও একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন শঙ্কর আঢ্য। বলেন, “আমার কোনও মিল নেই। আমি রেশন সরবরাহকারীও নই। ফলে খাদ্য দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবে জড়িত হতে পারি না।” এর পরই পালটা প্রশ্ন তোলেন শঙ্কর আঢ্য। বলেন, “হেফাজতে থাকাকালীন উনি কীভাবে কলম, কাগজ পেলেন সেটা দেখা হোক। তা হলে সত্যিটা বোঝা যাবে।” রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শংকর। বলেন “আমরা কিছুই জানি না। এক পয়সাও নিইনি। এটা একটা অভিযোগ। তার কোনও প্রমাণ নেই।”