প্রসেনজিৎ ধর :-লাক্ষাদ্বীপে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা বাজেটে । লাক্ষাদ্বীপ সহ দেশের দ্বীপগুলিতে পর্যটনকে আরও উন্নত করতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগোর ঘোষণা করা হল। এদিন অন্তর্বর্তী বাজেটের ঘোষণায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, দেশের পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বাজেটে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন শিল্পের উপর জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরই সংঘাতে জড়ায় ভারত ও মালদ্বীপ। এখন বহু ভারতীয় মালদ্বীপের বদলে ভ্রমণের জন্য বেছে নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বীপকে। অনেকেই মনে করছেন, তাই এবার এই জায়গাটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কেন্দ্র। বিদেশের বদলে যাতে আরও বেশি ভারতীয়র পছন্দের তালিকায় স্থান পায় দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, তাই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান। এতে আগামিদিনে পর্যটনের মাধ্যমে আরও মজবুত হবে দেশের অর্থনীতি।
এদিন বাজেট ঘোষণায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “দেশের ৬০টি জায়গায় জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক হয়েছে। বিশ্বমঞ্চের কাছে ভারতের বৈচিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে এর মাধ্যমে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক শক্তি ব্য়নসা ও কনফারেন্স ট্যুরিজমের জন্য ভারতকে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল করে তুলেছে। এখন মধ্যবিত্তরাও ঘুরতে যাচ্ছেন। শুরু হয়েছে ধর্মীয় পর্যটনও। এটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বড় সুযোগ হয়ে উঠছে।”অর্থমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন, ব্রান্ডিং ও প্রচারের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই উন্নয়ন যজ্ঞের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুদ হীন ঋণ দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে।” বাজেট ঘোষণায় লাক্ষাদ্বীপেরও প্রসঙ্গ টেনে আনেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “লাক্ষাদ্বীপ সহ দেশের দ্বীপগুলিতে অন্তর্দেশীয় পর্যটন, বন্দর সংযোগ, পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শেষে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনের প্রচার করতেই সুর চড়ায় পড়শি দেশ মলদ্বীপ। শুরু হয় লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ টানাপোড়েন। ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পরই বিতর্ক বাড়ে। মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে, সকলে লাক্ষাদ্বীপকেই পছন্দের জায়গা হিসাবে বেছে নেন।