প্রসেনজিৎ ধর :- সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারকে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন পার্থ ভৌমিক। পার্থ জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বর্তমানে ফেরার উত্তমকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত। রেড রোডে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকেই বড় ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘উত্তম সরকার, অঞ্চল প্রধান। গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেন, আমরা তৃণমূলকে ভালোবাসি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি। কিন্তু এই উত্তম ভয়ে দেখায়’। এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন যে উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য দল সাসপেন্ড করেছে। জানা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, রথীন ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী এই চার সদস্যকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি শনিবার দুপুর ১২ টায় রিপোর্ট জমা দেন। দলের নেতা পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আমি জানাতে চাই উত্তম সরদারকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হল’।সন্দেশখালিতে বিগত কয়েক দিন ধরে অশান্তির ঘটনা ঘটছে। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। কিন্তু তল্লাশি তো দূর শাহজাহান অনুগামীদের তাণ্ডবে পালিয়ে বাঁচেন ইডির আধিকারিকরা। আহতও হন কয়েক জন। সেই ঘটনার পর থেকেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হয়ে উঠতে থাকে। শাহজাহানের পাত্তা আর পাওয়া না গেলেও ক’দিনের মধ্যেই শাহজাহানবাহিনীর জুলুমের প্রতিবাদে পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত দু’দিন ধরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। নাম উঠে আসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের। শনিবার ধর্নামঞ্চ থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন পার্থ ভৌমিক। তার কারণ হিসাবে পার্থ জানান, উত্তমের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিষেক তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।