দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-ব্রাত্য বসুর পরিচালিত সিনেমা ‘হুব্বা’ দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সিনেমার চরিত্র নিয়ে এদিন বিস্তারিত জানেন তিনি। অবশেষে জানান, নন্দনে যাবেন তিনি সিনেমা দেখতে। এদিন ব্রাত্য বসুর কাজেরও প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, ‘ব্রাত্য বসু’-কে কেরলেও মানুষ চেনে। প্রসঙ্গত, এদিন দলের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দিতে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু।
২০০৫ সাল নাগাদ প্রথম হুগলি জেলার ত্রাস শ্যামল দাস ওরফে হুব্বা শ্যামলের নাম সামনে আসে। শান্ত দাস নামে বছর ২২-২৩ এর এক যুবক খুন হয়। সেই শান্ত দাস ছিল হুব্বা শ্যামলের ঘনিষ্ঠ। সেই খুনের বদলা নিতে হুগলির তৎকালীন গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামল খুন করেন এক এক করে ৫ জন প্রতিপক্ষ দলের লোককে। এরপরেই গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করে শ্যামল দাস ওরফে হুব্বা শ্যামলকে।এই হুব্বা শ্যামলের রাজনৈতিক ও অন্ধকার জগৎ নিয়েই তৈরি চলচ্চিত্র ‘হুব্বা’। ছবির মূল চরিত্র অর্থাৎ শ্যামলের ভূমিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিম।ব্রাত্য বসু জানান, “বাংলা চলচ্চিত্র ২৫ দিন ধরে বড় পর্দায় চলছে, এটাই বাংলা ছবির কাছে গৌরবের বিষয়। এই ছবির জনপ্রিয়তাই পরের ছবির টনিক আমার কাছে। তাই আমি পরের ছবি নিয়ে ভাবনা শুরু করেছি। তবে সামনে নির্বাচন আছে, তারপরই ছবি নিয়ে আরও এগোনো যাবে। তবে হুব্বা ছবি তো অন্য রকমের ছবি, সেই ছবিতে এই জনপ্রিয়তায় প্রযোজক খুশি। অন্যান্য বাংলা ছবির প্রযোজকরা আরও উৎসাহিত হবেন।”প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্যপালকে অনুরোধ জানালো চোপড়ায় গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু খতিয়ে দেখতে। এদিন রাজভবন থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাইরে বেড়িয়ে জানান যে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে এবং তাঁরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছেন একপক্ষের কথা শুনে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে।