Breaking News

‘আওয়াজ যেন বন্ধ না হয়’, সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মিঠুন চক্রবর্তী!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
শুক্রবার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, অসুস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সুকান্ত মজুমদার | এই খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন মিঠুন। আর তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুনের স্পষ্ট বক্তব্য, ”সন্দেশখালিতে সত্যের বিস্ফোরণ ঘটছে। তা থামানো যাবে তো? সেখানে তো মহিলারাই সরব হচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন।

এই সমবেত আওয়াজ যেন না থামে।” তাঁর এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সন্দেশখালির অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন মহাগুরু?সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাদের দ্বারা সাধারণ মহিলাদের নিগ্রহের অভিযোগের প্রসঙ্গে মিঠুন বলেছেন, “যদি মহিলাদের সঙ্গে এ রকম ব্যবহার হয়, তাহলে এর থেকে ঘৃণ্য কাজ কিছু হতে পারে না। এর থেকে বাজে কাজ আর কিছু নয়। এটা রাজনীতির বাইরের বিষয়। মা-বোনেদের সম্মানের বিষয়।” সন্দেশখালিতে যেতে গত কয়ক দিনে ধারাবাহিক ভাবে বাধা পেয়েছেন বিরোধীরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতিরও সাক্ষী রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলেও ঢুকতে পারেনি সেখানে। বিরোধীদের ঢুকতে না দেওয়ার প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলছেন, “বাধা না দিলে তো কোনও রাস্তা নেই। বাধা না দিলে সত্যটা আরও বড় করে বেরিয়ে আসবে। এত বড় করে সত্য বেরবে, তা সামলাতে পারবে না। তাই চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলবে।” কিন্তু প্রতিবাদের এই ‘আওয়াজ যেন বন্ধ না হয়’ সে বার্তাও দিয়েছেন ‘মহাগুরু’। শাসক প্রতিবাদকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু তা যেন না হয়, সেই বার্তাই এই কথার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন মিঠুন।এই ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ ৩ আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মহাগুরুর প্রতিক্রিয়া, ”সেখানে গেলেই সত্যি কথা বলতে পারবেন তাঁরা। নইলে বাইরে কথা বললে অনেকের মনে হবে, বানিয়ে বলছেন।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *