দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- আজ রাতের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সমস্ত আধার কার্ড, সাংবাদিক বৈঠক করে আশ্বাস দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার তিনি দাবি করেন, আধারে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।সুকান্তবাবু বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে বেশ কিছু জেলায় বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমি রেলমন্ত্রী, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ও আধারের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আজ রাতের মধ্যে সমস্ত তথাকথিত ডিঅ্যাক্টিভেটেড আধার কার্ড আবার চালু হয়ে যাবে। কোনও আধার কার্ড বাতিল হবে না’।
রাজ্যের পোর্টালকে উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একটা পোর্টাল খুলেছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। কোনও পোর্টালে কোনও অভিযোগ জানানোর দরকার নেই। যদি আজ রাতের পরে কারও আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটেড থাকে বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি আমরা দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের আধার কার্ড অ্যাক্টিভেট করে দেব। আমরা আঞ্চলিক আধার অফিসের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ করিয়ে দেব। আজ রাতের মধ্যে সবার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’।আধার বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল: ৯৬৪৭৫৩৪৪৫৩। তিনি জানান, ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সমস্যার কথা জানালে একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। তাতেই মিটবে সমস্যা। তবে একটি আধার কার্ডও বাতিল হয়নি বলেই দাবি সুকান্তর। CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর পক্ষে আরও একবার সওয়াল করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টির।” অবশ্য আধার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিজেপি ‘স্ববিরোধী’ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দু, সুকান্ত যা বলছে তাতে স্পষ্ট বড় কোনও চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। তাদের সরকারের লোকজন আধার কার্ড লিঙ্ক কেটে সাধারণ মানুষকে হয়রান করছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করায়, রাজ্য সরকার পাশে থাকবে বলার পর পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছেন। মমতার কড়া অবস্থানে ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। আমরা বরদাস্ত করব না।”