প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আধার নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাত জারি রইল সোমবারেও। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের তরফে বাংলার মানুষের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পিছনে বিজেপির চক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করবে নবান্ন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁর ঘোষণা, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য একটি পোর্টাল চালু করছে। সেই পোর্টালে গিয়ে যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের আধার বাতিল হয়েছে তাঁদের আলাদা কার্ড দেবে রাজ্য। ব্যাঙ্ক বা অন্য কাজে কারও সমস্যা হবে না।’’একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের আধার কার্ড বাতিল করছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে আধারের বিকল্প কার্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। দাবি করেন, পরিকল্পনামাফিক বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মূলত মতুয়া সম্প্রদায়ের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে বলে দাবিও করেন তিনি। এর পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে রাজ্যের তরফে বিকল্প কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের তরফে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে ওই পোর্টালটি খুলে দেওয়া হবে আমজনতার জন্য।
যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁরা সেখানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলে খবর। নির্দিষ্ট সময়ে বিকল্প কার্ড পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর ঠিকানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিকল্প কার্ড আধারের মতোই কাজ করবে। অর্থাৎ যে যে ক্ষেত্রে আধার ব্যবহার করা হত, সেই সমস্ত জায়গায়ই এই বিকল্প কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই কার্ড ব্যবহারে মিলবে সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুবিধাও। কিন্তু রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের রেশন থেকে শুরু করে ১০০ দিন, আয়ুষ্মান ভারত-সহ যাবতীয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোয় আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। যাদের আধার বাতিল হয়েছে পরবর্তীতে তাঁরা কেন্দ্রের এই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাবেন কি? রাজ্যের দেওয়া বিকল্প কার্ড কি কোনওভাবে কেন্দ্রের প্রকল্পের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে? এহেন একাধিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।