দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- চোপড়ায় গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। চার শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালি ইস্যুতে এমনিতেই তপ্ত বাংলা। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। আর তারপরই তৃণমূলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, সন্দেশখালি গেলেও চোপড়ায় কেন গেলেন না রাজ্যপাল? বিএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চার শিশুমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল।
এদিন চোপড়ায় সীমান্তবর্তী গ্রাম ছেতনাগজে পৌঁছন রাজ্যপাল । সীমান্তের কাঁটাতার থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। যে গর্তে পড়ে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেটিও পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল বোস। এর পরই চলে যান চার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। রাজ্যপালকে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বোসের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে নিজের মোবাইল নম্বর দেন। বলেন, “প্রয়োজনে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন।” রাজ্যপালের তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।এর পাশাপাশি রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হবে। একইসঙ্গে বিএসএফের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, বিএসএফ ঠিকভাবে কাজ করে না। এদিন দুপুরে বিএসএফ ক্যাম্পে যান সিভি আনন্দ বোস। সেখানে এক প্রস্থ আলোচনা হয় বলেও খবর।