দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পুলিশ কর্তাকে খালিস্তানি বলে আক্রমণ করায় জল অনেক দূর গড়াল। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়ে দিলেন, কর্তব্যরত পুলিশকর্তার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফৌজদারি দণ্ডবিধি ব্যাখ্যা করে সুপ্রতিম বলেন, বিভিন্ন পেশায় যাঁরা কাজ করেন তাঁদের কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ শিখ, কেউ খ্রীষ্টান হতে পারেন। কেউ পাগড়ি বলেছেন বলে তাঁকে খালিস্তানি বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না।
বিজেপি কর্মীদের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর কলকাতায় বিজেপি অফিস ঘেরাও করলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, ‘যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ক্ষমা চাইবেন, ততক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলবে’।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বিজেপি কর্মীদের। একইসঙ্গে সন্দেশখালির ১২ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরে অবশ্য কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতিতে সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু এবং শংকর। ধামাখালিতে বিজেপি কর্মীদের আটকানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ সুপার জশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি কর্মীরা। যার তীব্র প্রতিবাদ জানান সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক। প্রশ্ন করেন, “কেন আমার ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করছেন? মাথায় পাগড়ি পরিধান করেছি বলেই কি আমি খলিস্তানি হয়ে গেলাম?” ওই তর্কাতর্কির ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়। পরে তা টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অগ্নিমিত্রা দাবি করেছেন, তিনি পুলিশ কর্তাকে খালিস্তানি বলেননি। তা ছাড়া ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শিখ জাতিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। বিজেপির কেউ খালিস্তানি বলেনি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal