Breaking News

‘দলে আছি, পদে নেই’, মমতাকে জানিয়ে ইস্তফা কুণাল ঘোষের!সুব্রত বক্সির জেলা সফর থেকে বাদ কুণাল,রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়লেন ঘোষ

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের জোড়া পদ ছাড়লেন ‘অভিমানী’ কুণাল ঘোষ | তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদও ছেড়েছেন বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই দেখা গিয়েছিল এক্স মাধ্যমে তাঁর হ্যান্ডেলে বড় বদল। বায়োতে তাঁর রাজনৈতিক পদ আর দেখা যাচ্ছিল না। বদলে শুধু ‘সাংবাদিক’ ও ‘সমাজকর্মী’ এই দুই লেখা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনা সত্যি করেই সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে একটা নয়, একেবারে দু’টি পদ ছেড়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ |
ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর পদ ছাড়ার কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন বলে খবর।
গতকাল রাতে সোশাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল লেখেন, “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), অভিষেক, এবং তৃণমূলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।” নিজের পোস্টে দলকে ট্যাগ করেছেন কুণাল। তবে কার উদ্দেশে এই পোস্ট? কাকে এত তীব্র আক্রমণ সেটা স্পষ্ট করেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের ক্ষোভ উত্তর কলকাতার এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কুণাল ঘোষের তিক্ততা চলছে বলে শোনা যায়। ওই নেতা বৃহস্পতিবারই উত্তর কলকাতায় একটি সভা করেন। সেখানে কুণালবাবু উপস্থিত ছিলেন না। যদিও নিজের পোস্টে কারও নামই নেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।সূত্রের খবর, পদ ছাড়ার পাশাপাশি রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তাও ছেড়েছেন কুণাল। রাজ্যের তরফে তাঁকে যে নিরাপত্তারক্ষীদের দেওয়া হয়েছিল তিনি তাঁদেরও আজ সকাল থেকে আসতে নিষেধ করে দেন।

১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা করবে তৃণমূল। সেই সভার জন্য জেলায় জেলায় সংগঠনের প্রস্তুতি বৈঠক শুরু হয়েছে। সুব্রত বক্সী এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *